বৌদ্ধধর্মীয় গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব
বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সিইপিজেড এলাকায় ফ্রা রং-খ্রে-দ ক্যং নামক বৌদ্ধ বিহারে বিগত ২৮ জুন ২০১৯, শুক্রবার বিকাল ৪ ঘটিকায় “পালি সাহিত্যের আলোকে ত্রিরত বন্দনা ও গৃহীদের প্রাত্যহিক জীবনাচরণ” নামক বৌদ্ধধর্মীয় গ্রন্থ প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্মীয় বইটির সংকলকদ্বয় যথাক্রমে শ্রীমৎ ওয়াইন্নাসিরি থেরো ও শ্রীমৎ অশ্বজিৎ ভিক্ষু। প্রকাশক পটিয়া থানাধীন ঐতিহ্যবাহী বেলখাইন গ্রামের কৃতি সন্তান, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, চট্টগ্রাম এর রাজস্ব কর্মকর্তা বাবু প্রীতিময় কান্তি বড়ুয়া লাভলু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিইপিজেড সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ভদন্ত জ্ঞানরত্ন মহাথের মহোদয়। প্রধান অলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালি বিভাগের সম্মানিত চেয়ারম্যান ড. জ্ঞানরত্ন মহাথের মহোদয়। প্রধান আলোচক বলেন,‘শিক্ষা সংস্কৃতির রক্ষায় ভিক্ষু ও দায়কদের এগিয়ে আসতে হবে। গৃহীদের প্রাত্যহিক জীবনে ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ ও পঠন গুরুত্ব অনুভব করে প্রতিদিন ধর্মীয় বইটি পাঠ করার জন্য আহ্বান জানান।’ এছাড়াও তিনি বলেন, ‘বাংলায় বৌদ্ধধর্ম প্রচার-প্রসারের প্রথম অবদান সংঘরাজ সারমেধ মহাস্থবির এবং শতাব্দী প্রাচীন চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের প্রথম অধ্যক্ষ উ.গুণমেজ মহাস্থবির। এই দুইগুণী পূজনীয় ভান্তের কথা স্মরণ করেন, দুইজনই মারমা সম্প্রদায়ের আলোকিত ভিক্ষু বলে উল্লেখ করেন। আলোকিত ও উন্নত সমাজ গঠনে তাঁদেরকে অনুসরণ করতে বর্তমান উদীয়মান শিক্ষিত ভিক্ষুদের এগিয়ে আসতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। গ্রন্থকারদ্বয় বলেন ‘ধর্মীয় বইটি সংকলিত হলেও এতে রয়েছে কিছু নতুন্বত সংযোজন, তাই বইটির সমালোচনা ও পাঠ গ্রহণে সমাজের বিদ্বগ্ধ পাঠকদের নিকট আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে প্রকাশক বাবু প্রীতিময় কান্তি বড়ুয়া লাভলু মহোদয়কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এড্ভোকেট অনুপ কুমার বড়ুয়া, বাংলাদেশ সমাজ সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি বাবু বোধিপাল বড়ুয়া, মার্স্টার চিপ অংসুইপ্রু মারমা, দিলীপ বড়ুয়া, জীবন বিকাশ বড়ুয়া, পলাশ কুমার বড়ুয়া, সূর্যসেন বড়ুয়া, সুকান্ত বড়ুয়া, মিন্টু বড়ুয়া ও সানি মারমা প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন জনি মারমা। অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক জ্ঞানরত্ন মহাথের মহোদয় সকলের সাথে সুসম্প্রীতি ও ধর্মময় জীবন যাপনের জন্য আহ্বান জানান। সভার শেষে বিশ্বের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনায় পুণ্যদান করে সভা সমাপ্তি হয়।
No comments
Post a Comment