বড় ভান্তের স্মরণে “প্রণতি গুরুদেব”
উপমহাদেশের প্রখ্যাত বৌদ্ধধর্মীয় গুরু, মিয়ানমার সরকার কর্তৃক ‘অগ্গাসদ্ধম্মাজ্যোতিকাধ্বজ’ এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক “একুশে” পদকে ভূষিত, কক্সবাজার রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্যক্ষ পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরো বড় ভান্তের প্রতি অন্তরের গভীর শ্রদ্ধা ও স্মরণ-
প্রণতি গুরুদেব
১
কক্সবাজার কথা ভাবলে ‘রামু’ শব্দটি হৃদস্পন্দন হয় ঘণঘটা,
সেখানে আমার ভিক্ষুত্ব জন্ম, সীমা বিহার আমার মাতা।
গুরুদেব সত্যপ্রিয় আমার জনক, জ্ঞানদাতা ভান্তে জ্ঞানরত্ন
সেইদিন এগার সাল, খুঁজে পেলাম শত জনমের পারমীরত্ন।
২
এ বাংলায় অশোকান থেকে বুদ্ধধর্ম স্রোতধারা বহমান,
আজো চলে অবিরাম-‘রামু’ সেই তো মহা ঐতিহ্যের নাম।
সেই ঐতিহ্যের এক জ্যোতিষ্ক জ্বলেছিল জ্ঞানের আলো,
জ্ঞানের আকর সত্যপ্রিয়, গৌরবদীপ্ত এক উজ্জ্বল আলো।
৩
বুদ্ধের ধর্মবীজ আর ধর্মাশোকের অভিযানধারা,
মনেতে রোপন করেছে যার সত্যের ধারা।
বিনয়-শীলে সাধন করে হয়েছে তুমি দেব-মনুষ্যপ্রিয়,
মিথ্যাকে পরিহার, সত্যকে প্রিয় তিনি তো সত্যপ্রিয়।
৪
‘অগ্গাসদ্ধম্মাজ্যোতিকাধবজ’ উপাধি আর ভূষিত হয়েছে ‘একুশে পদক’,
স্বদেশ-বিদেশ ছুটেছেন বুদ্ধশাসনের তরে, বরিত হয়েছে স্বীকৃতি পদক।
দুঃখমুক্তি প্রচারাভিযানে তুমি ছিলেন বিনয়ী আর শাসনধব্জাধারী,
মহামানব গৌতম ধর্মের গুরুদায়িত্বে তুমি ছিলেন বিমূর্ত কান্ডারী।
৫
পবিত্র ত্রিপিটক অনুবাদ আর নির্বাণ সাধনায় তুমি ছিলেন সুগভীর,
চারিধাতু দেহকুঞ্জ উদয়-বিলয় হলেও তোমার রয়েছে সৎ কর্মের ভারি।
তুমি আমার হৃদয়ে, তুমি আছো বাংলার বুকে প্রতিটা বৌদ্ধগ্রামে।
রবে তুমি পবিত্র ত্রিপিটক অক্ষরে, সত্যনিষ্ঠ মানুষের মনগামে।
-সমাপ্ত-
No comments
Post a Comment